আসসালামু আলাইকুম। ট্রিক বিডিবাসী আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন ট্রিক নিয়ে বা তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে কথা বলবো ফ্রি ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড সম্পর্কে

ক্যাপশন দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, ফ্রিতে ইন্টারন্যাশনাল কার্ড কিভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়ে কথা লিখবো।
হ্যাঁ, আর এই ফ্রি কার্ড টি দিচ্ছে হচ্ছে Digifinex নামের একটি কোম্পানি যা প্রায়ই Bybit ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের মত।
কিন্তু বাইবিট কার্ড শুধুমাত্র ইউরোপিয়ানদের জন্য ছিল, কিন্তু আপনি এই কার্ডটি আপনার নিজস্ব ডকুমেন্ট দিয়ে পাবেন।

তো আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আসল পোস্টে চলে যাওয়া যাক:
( আমার মনে হয় লেখার থেকে ছবিগুলো দেখে আপনারা ভালো বুঝতে পারবেন, চেষ্টা করেন ছবিগুলো দেখে সমস্ত কিছু বোঝার, আর ছবি দেখেও যদি কার্ডটির আবেদন না করতে পারেন, তাহলেও নিচে অন্য ব্যবস্থাও আছে)

আমি কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে লিখেছি। সেগুলো হলোঃ
১. কার্ডের আবেদনের জন্য প্রথমে আপনাকে নিচের লিংকে যেতে হবে। ট্রিকবিডি-র নিয়ম অনুযায়ী আমি রেফারসহ লিংক এবং রেফার ছাড়া লিংক দুইটাই যোগ করে দিয়েছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে চেষ্টা করবেন আমার রেফার লিংক দিয়ে একাউন্ট করার অর্থাৎ কার্ডের জন্য আবেদন করা । কারণ আপনাদের জন্য এত কষ্ট করে লিখছি এইটুকু তো বলতেই পারি।😊 আর রেফার সহ লিংকে একাউন্ট করলে,আমিও বোনাস পাবো,পরবর্তী রেওয়ার্ড পেতে আপনার জন্য ও সুবিধা হবে।

রেফার সহ লিংক

রেফার ছাড়া লিংক

২. আপনার ইমেইল দেওয়ার পরে সেখানে কোড সেন্ড করুন তারপর পরবর্তীতে কোড নিয়ে বসিয়ে ওকে করে দিন লগইন অথবা রেজিস্টার এ ক্লিক করে।

৩. এখানে কিছু দেখাবে যে আপনি উপরোক্ত দেশগুলোর নাগরিক কিনা কারণ উপরোক্ত দেশগুলোর নাগরিক কার্ড এপ্লাই করতে পারবেনা। এইখানে ” Not belonging to these countries can apply card” এ আপনি ক্লিক করে ওকে করে দেন।

৪. তারপরে জিজ্ঞেস করবে আপনি আমেরিকার নাগরিক কিনা যেহেতু আপনি আমেরিকার নাগরিক না তাহলে উপরের অপশনটি সিলেক্ট করে ওকে করে দেন। (যদিও আমেরিকার নাগরিক এই কার্ড অর্ডার দিবে না) 😊

৫. তারপর আপনি বাংলাদেশ অথবা আপনার যে দেশের নাগরিকত্বের কার্ড রয়েছে সেই দেশের নাম সিলেক্ট করুন। এবং আপনার নাগরিকত্বের কার্ড অর্থাৎ এনআইডি কার্ডের অথবা পাসপোর্ট এর ছবি সিলেক্ট করে দিবেন। এখানে মনে রাখার বিষয় হচ্ছে যদি আপনার এন আই ডি কার্ড হয় তাহলে চেষ্টা করবেন সামনের পার্ট এবং পেছনের পার্ট এর ছবি একদম ক্লিয়ার হয় এবং ছবির চার কোনা স্পষ্ট থাকে। আর পাসপোর্ট হলে পাসপোর্ট এর ছবিসহ সমস্ত লেখা স্পষ্ট বোঝা যায়।
উল্লেখ্য ব্যাপার হচ্ছে আইডি কার্ড হলে পুরাতন এনআইডি কার্ড অথবা স্মার্ট কার্ড হলেও হবে। কোন সমস্যা নেই।

৬. এরপর আসবে আপনার লাইভ ক্যামেরা ভেরিফিকেশন। অর্থাৎ আপনার কাছে যে কোন ডকুমেন্টের ছবি থাকতেই পারে, কিন্তু আপনি সেই ব্যাক্তি কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য এই ভেরিফিকেশন।
এটা অনেকেই কঠিন মনে করে। আমি স্ক্রিনশট দিয়েছি এখানে কিছুই না শুধুমাত্র ক্যামেরার চারদিক দিয়ে মাথা ঘুরাতে হবে। পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে । ক্যামেরার অন ফোকাসে থাকতে হবে।

৭. আপনার লাইভ ক্যামেরা ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে তখনই দেখিয়ে দেবে অথবা কিছু সময় নিতে পারে আপনি আপনার ইমেইল চেক করবেন অথবা অ্যাপ ডাউনলোড দিয়ে সেখানে দেখতে পারবেন।

৮. অ্যাপ ডাউনলোড করবেন তারপরে লগইন করবেন, তারপরে উপরেই কার্ড অপশন পাবেন।

৯. সেখানে দেখবেন আপনার কার্ডটি আসছে কিনা। খুব বেশি সময় নেয় না অতি দ্রুতই দিয়ে দেয়। তারপরেও কিছু সময় হয়তো ওদের আপডেটের কারণে সময় লাগতে পারে।

১০. যদি আপনার কার অতি দ্রুতই দিয়ে থাকে তাহলে দেখতে পারবেন যে আপনার কার্ড দেখা যাচ্ছে এবং আপনি যদি আপনার কার্ডের সমস্ত ডিটেলস দেখতে চান তাহলে আপনাকে, যেকোনো দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা অর্থাৎ টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন অন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি Google Authenticator এটা ব্যবহার করতে পারেন।

তো এই হচ্ছে আপনাদের কার্ড এটি আপনি ইন্টারন্যাশনাল অনেক ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন।

    Leave a Reply